করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুরে মারা গেছেন আরো সাতজন। গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাঁরা।
একইসঙ্গে জেলায় ৬০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২২১ জন। এতে সংক্রমণের হার ৩৬.৭১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘন্টায় যে সাতজন মারা যান তাঁরা হলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সেলিনা বেগম (৪৫), ঘনিয়া গ্রামের হাজী হাফিজুর রহমান (৫৮), বিশকাটালি গ্রামের আব্দুস সালাম (৫৭), চরমথুরা গ্রামের নজরুল ইসলাম (৫২), হাইমচর উপজেলার চরকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৬৫), হাজীগঞ্জ উপজেলার মাতুইন গ্রামের চাঁন মিয়া (৮০) এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের মমতাজ বেগম (৮০)।
আজ সোমবার (৯ আগস্ট) সকালে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. সুজাউদ্দৌলা আরো জানান, সাতজনের একজন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে এবং অন্যরা মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। তিনি জানান, হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন থেকে আগের ৫০টি মিটারের সঙ্গে আরো ৫০টি যোগ হয়েছে। একইসঙ্গে সিলিন্ডার থেকেও রোগীদের অক্সিজেন সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে মুমূর্ষু রোগীদের মৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
এদিকে, চাঁদপুরে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছে ১২ হাজার ২২৯ জন। আর মারা গেছেন প্রায় ২০০ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচ শতাধিক।
এরইমধ্যে চাঁদপুরে গণটিকা কার্যক্রমসহ এ পর্যন্ত নানা বয়সী প্রায় তিন লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।